বিএনপি নেতা খায়রুল কবিরের বাসায় মির্জা ফখরুল


কারাবন্দী বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও নরসিংদী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক খায়রুল কবিরের খিলগাঁওয়ের বাসায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ মঙ্গলবার দুপুরে
কারাবন্দী বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও নরসিংদী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক খায়রুল কবির খোকনের বাসায় গিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে খায়রুল কবিরের বাসায় গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন।

সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা দলের কারাবন্দী নেতাদের বাসায় যাচ্ছেন। তাঁদের পরিবারের খোঁজখবর নিচ্ছেন। ঈদুল ফিতরের আগে খায়রুল কবির খোকনের বাসায় গেলেন বিএনপির মহাসচিব।

খায়রুল কবির খোকন ডাকসুর সাবেক জিএস। তাঁর বিরুদ্ধে নরসিংদীতে ছাত্রদলের দুই নেতা-কর্মী হত্যা মামলাসহ কয়েকটি মামলা রয়েছে। গত বছরের ২৫ অক্টোবর ঢাকার সিপাহীবাগের একটি বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। তখন থেকে তিনি কারাগারে বন্দী আছেন।


আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকামী মানুষকে বেছে বেছে হত্যা করছে: মির্জা ফখরুল


আওয়ামী লীগ শুধু গণতন্ত্রই হত্যা করেনি, গণতন্ত্রকামী মানুষকে এখন বেছে বেছে হত্যা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি উল্লেখ করেন পুলিশের নির্যাতনে আজ সোমবার ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলা জাতীয়তাবাদী যুবদলের সদস্যসচিব মো. আকরাম হোসেনের (৪০) মৃত্যু হয়েছে।

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, যুবদল নেতা আকরাম হোসেনসহ পাঁচজনকে পুলিশ গতকাল রোববার রাত ৯টার দিকে গ্রেপ্তার করে। আজ তাঁদের আদালতে নেওয়ার জন্য থানা থেকে বের করা হয়। এর মধ্যে আকরাম হোসেন মারা যান। পুলিশের দাবি, তাঁকে কোনো নির্যাতন করা হয়নি, তিনি আগে থেকে অসুস্থ ছিলেন।  







 ঝালকাঠি জেলা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি গ্রেপ্তার

ঝালকাঠিতে জেলা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মো. এনামুল হাসান সিকদারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিস্ফোরক আইনের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানায়, ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর ঝালকাঠি থানায় একটি বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা মামলায় সন্দেহভাজন আসামি ছিলেন জেলা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি এনামুল হাসান সিকদার। সোমবার দুপুরে সে সদর হাসপাতালের সামনে নাশকতা সৃষ্টির পায়তারা করছিল। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার হওয়া এনামুল রাজাপুর উপজেলার শুক্তাগর ইউনিয়নে।
ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন সরকার বলেন, গ্রেপ্তারের পরে শিবির সেক্রেটারিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

শিগগিরই ‘ভুয়া’ নির্বাচনের মাঠ ছেড়ে পালাবে আ.লীগ : ১২ দলীয় জোট


১২ দলীয় জোটের নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা নিজেদের পকেট ভারি করার জন্য নেতাকর্মীদের মধ্যে মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করেছেন। শিগগিরই ‘ভুয়া’ নির্বাচনের মাঠ ছেড়ে পালাবে আওয়ামী লীগ। তারা নিজেরাও জানে বিএনপি, ১২ দলীয় জোট ও জামায়াতসহ সমমনা দলগুলোর চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু হলে আওয়ামী লীগকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না।

সোমবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর নাইটিঙ্গেল মোড়ে নির্বাচনের তফসিল বাতিলের দাবিতে ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ১২ দলীয় জোট।

এসময় ১২ দলীয় জোটের নেতারা বলেন, ‘এই নির্বাচন দৃশ্যত আওয়ামী লীগের দলীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনে নায়ক-নায়িকা, গায়ক-গায়িকা, নর্তকী ও খেলোয়াড়রা অংশ নিচ্ছে। তাই এই নির্বাচনকে দেশি-বিদেশি সবাই প্রত্যাখান করেছে।’

মার্কিন ভিসা নীতির আওতায় থাকা আওয়ামী লীগের নেতারা এখন গোপনে মুচলেকা দিয়ে দেশে ফিরতে শুরু করেছেন বলেও মন্তব্য করেন ১২ দলীয় জোটের নেতারা।

বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী আব্বাস খান, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান ও বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মো. ফারুক রহমানসহ অনেকে।


যুবদলের সাবেক সভাপতি নীরবসহ সাতজনের সাজা



 রাজধানীর তেজগাঁও থানার নাশকতার মামলায় যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরবসহ বিএনপির সাত কর্মীর আড়াই বছরের সাজা দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২০ নভেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শেখ সাদীর আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। পাশাপাশি তাদের দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাদের আরো সাত মাসের কারাভোগ করতে হবে।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন- সাজেদুল ইসলাম সুমন, গান্ডু শাহিন, বেল্লাল হোসেন, জাকির হোসেন, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার ও আবু বক্কর সিদ্দিক। রায় ঘোষণার আগে কারাগার থেকে নীরবকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণার পর তাকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। অপর ছয় আসামি পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে সাজাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের মে মাসে বিএনপির হরতাল অবরোধ চলাকালে রাজধানীর তেজগাঁও থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে তেজগাঁও থানায় এ মামলা করেন পুলিশ। মামলার পর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।এরপর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৪৩৫ ধারায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

তানজিলের নেতৃত্বে সায়েদাবাদে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল


হরতালের সমর্থনে সায়েদাবাদে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের প্রথম সহ সভাপতি তানজিল হাসানের নেতৃত্বে মিছিল করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।

মিছিলে উপস্থিত ছিলো বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের বিপ্লবী যুগ্ম সম্পাদক এইচ এম আবু জাফর।

আরও উপস্থিত ছিলো ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ সাধারণ সম্পাদক বায়েজিদ হোসেন,রুহুল আমিন হিমেল, সদস্য আনিছুর রহমান খান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক শফিকুল ইসলাম,
মহানগর পূর্ব ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক এইচ এম রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ,
ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সহ সভাপতি সাইফুল ইসলাম খান,যুগ্ম সম্পাদক ইজাবুল মল্লিক, জহিরুল ইসলাম শুভ,
বেসরকারি বিশ্বাবিদ্যালয় ছাত্রদলের সহ সভাপতি আল আমিন মৃধা, যুগ্ম সম্পাদক সজিব মৃধা,যুগ্ম সম্পাদক সাদেক হোসেন, সহ মুক্তিযোদ্ধা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক নাজমুল আকন,
তেজগাঁও কলেজ ছাত্রদলের নেতা নাজমুল হাসান পাপন,
সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদল নেতা রাকিবুল ইসলাম রাকিব,রাহাত হোসেন,
দনিয়া কলেজ ছাত্রদলের সহ সভাপতি সাইফুল ইসলাম,
যাত্রাবাড়ী থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মো: আল আমিন হোসেন, রাশেদুল ইসলাম, রাশেদুল ইসলাম রাশেদ,
আর কে চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক সিহাব হোসেন,
বংশাল থানা ছাত্রদল নেতা শান্ত
ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদল নেতা রুবেল হোসেন, মারজান বিন জাহাঙ্গীর, হাইয়ূল ফকির ফাহিম
বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক সালমানু রহমান শাকিল
রামপুরা থানা ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক সাব্বির হোসেন রোমান, রামপুরা থানা ছাত্রদলের অন্তর্ভুক্ত ৯৮ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান রাসেল,প্রচার সম্পাদক ইয়াসিন
ফতুল্লা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম, ইমরান সহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ।
মিছিলটি সায়েদাবাদের জনপদ মোর থেকে গোলাপবাগ অভিমুখে শুরু করে।মিছিলটি ধলপুর কমিউনিটি সেন্টারের সামনে গেলে পুলিশের বাধায় শেষ হয়।


ন্যায়ভ্রষ্ট রায়ের প্রতিবাদে রাজধানীতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও পিকেটিং

সরকারের অপশাসন ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনগণ রাজপথে নেমেছে : হাফিজুর রহমান



বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য মো. হাফিজুর রহমান বিক্ষোভ মিছিল ও পিকেটিংয়ের নেতৃত্ব প্রদানকালে বলেছেন, ভোট ডাকাতি করে অবৈধ পথে ক্ষমতায় বসা আওয়ামী লীগ সরকারের দীর্ঘ পনের বছরের অপশাসন ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনগণ রাজপথে নেমেছে। রাজপথের আন্দোলনের মাধ্যমেই এই অবৈধ ফ্যাসিবাদী সরকারের পদত্যাগ নিশ্চিত করা হবে। জামায়াত বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক ও নিয়মতান্ত্রিক বৃহৎ রাজনৈতিক সংগঠন। বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে অধিকাংশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে অধিকাংশ সংসদে প্রতিনিধিত্ব করে।

সারাদেশে স্থানীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বিপুল সংখ্যক জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে তারা দেশ ও জাতির খেদমত করেছে। জামায়াতের মতো একটি বৃহৎ দলের বক্তব্য না শুনে নিবন্ধন সংক্রান্ত আপিল মামলাটি খারিজ করে দেওয়া একটি ন্যায়ভ্রষ্ট রায়। আমরা মনে করি, এটা সরকারের গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে জনধিকৃত ও প্রহসনের তফসিল ঘোষণা করেছে সরকার। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের জনগণ এই তফসিল প্রত্যাখ্যান করেছে। আমরা বলতে চাই অবিলম্বে এই তফসিল বাতিল করুন। একটি অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করুন।

তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী জনগণকে সাথে নিয়ে রাজপথে নেমেছে, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথেই থাকবে ইনশাআল্লাহ। আমরা বাংলাদেশের সাধারণ জনগণকে নিজেদের ন্যায্য দাবি আদায়ে ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাচ্ছি। তিনি আজ ২০ নভেম্বর সকালে যাত্রাবাড়ী কাজলারপাড়ে বিক্ষোভ মিছিল ও পিকেটিংয়ে নেতৃত্বকালে এসব কথা বলেন। ন্যায়ভ্রষ্ট রায়ের প্রতিবাদ ও হরতালের সমর্থনে ২য় দিনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী কাজলারপাড় সড়কে বিক্ষোভ মিছিল ও পিকেটিং করে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের নেতাকর্মীরা। সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগরী মজলিসে শূরা সদস্য সাদেক বিল্লাহ, নওশের আলম, রাসেল মাহমুদ সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

এছাড়াও ন্যায়ভ্রষ্ট রায়ের প্রতিবাদে ও তফসিল বাতিলের দাবিতে আজ ৪৮ ঘণ্টা হরতালের দ্বিতীয় দিনেও রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মসূচী পালিত হয়।

বঙ্গবাজার ফায়ার সার্ভিস সড়কে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল : ন্যায়ভ্রষ্ট রায়, তফসিল প্রত্যাহার, সরকারের পদত্যাগ ও কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠা,আমিরে জামায়াত ডাঃ শফিকুর রহমানসহ সকল রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও আলেম-ওলামার মুক্তি এবং নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর হরতালের সমর্থনে দ্বিতীয় দিনে রাজধানীর বঙ্গবাজার ফায়ার সার্ভিস সড়কে মিছিল করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নেতাকর্মীরা। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য কামরুল আহসান হাসানের নেতৃত্বে মিছিল অংশগ্রহণ করেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের লালবাগ-বংশাল জোনের বিভিন্ন থানার আমির ও সেক্রেটারিসহও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর পূর্ব শাখার ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করে।





 বিরতি দিয়ে ফের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের ডাক


সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বিএনপিসহ সমমনা বিরোধী দলের চতুর্থ দফায় ডাকা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শেষ হতে যাচ্ছে মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকাল ৬টায়। এ কর্মসূচি শেষ হলে একদিনের বিরতি দিয়ে দাবি আদায়ে আরও ৪৮ ঘণ্টা অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিরোধী দলগুলো।

বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতারা বলছেন, চলতি সপ্তাহ অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে মঙ্গলবার কর্মসূচিতে বিরতি দিয়ে বুধবার (১৫ নভেম্বর) সকাল থেকে শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকাল ৬ পর্যন্ত আরও ৪৮ ঘণ্টা কর্মসূচি দেওয়া হবে। এরপর নির্বাচন কমিশন (ইসি) যদি আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে তাহলে কর্মসূচির ধরনে পরিবর্তন আনা হবে। সেক্ষেত্রে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা ৩৬টি দলের বাইরে যেসব দল বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবে না, তাদের সঙ্গে সমন্বয়ক রেখে নতুন কর্মসূচি দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলে পরের দিন থেকে হরতালের কর্মসূচি দেওয়া প্রাথমিক সিদ্ধান্ত রয়েছে বিএনপি, গণতন্ত্র মঞ্চসহ বিরোধী দলগুলোর।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক দল বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, নতুন কর্মসূচি নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা চলছে। বিকেলের মধ্যে নতুন কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হবে।

নাম না প্রকাশে বিএনপির সম্পাদকমণ্ডলীর এক নেতা বলেন, চলতি সপ্তাহ অবরোধ কর্মসূচি কন্টিনিউ (ধারা অব্যাহত রাখা) করা হবে। বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা না করতে আহ্বান জানানো হয়েছে। এরপর যদি নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করে তাহলে অবশ্যই কর্মসূচির ধরনে পরিবর্তন আনা হবে। সেক্ষেত্রে হরতাল, শুধু ঢাকায় সর্বাত্মক অবরোধ, নির্বাচন কমিশন ঘেরাও কর্মসূচি আসতে পারে।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশে হামলা, হত্যা, গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এবং সরকার পতনের এক দফা দাবিতে এর আগে ২৯ অক্টোবর হরতাল এবং ৩১ অক্টোবর, ১ ও ২ নভেম্বর মোট তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের শরিকরা। তারপর ৫ ও ৬ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায়, ৮ ও ৯ নভেম্বর তৃতীয় দফায় অবরোধ কর্মসূচি পালন করে তারা। আর ১১ নভেম্বর থেকে শুরু হয় চতুর্থ দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ, আগামীকাল সকাল ৬টায় শেষ হবে এ অবরোধ।








 গায়েবি মামলায় পাইকারি হারে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

গায়েবি মামলায় পাইকারি হারে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

রোববার (১২ নভেম্বর) বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘নব্য নাৎসি কায়দায় সরকার আবার নতুন করে গুমের উৎসব শুরু করেছে। প্রতিটি শহর-বন্দর জনপদে এখন সাদা পোষাকধারীদের হাড় হিম করা আতঙ্ক। দিনে-রাতে তারা কালো কাচে ঢাকা মাইক্রোবাসে নাৎসি বাহিনীর মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে। ছোঁ মেরে তুলে নিচ্ছে গণতন্ত্রকামীদের। আন্দোলনরত বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের না পেলে তাদের পিতা-মাতা, পুত্র-সন্তান, ভাই-বোন এবং আত্মীয় স্বজনদেরও ধরে নিয়ে অদৃশ্য করে রাখছে। তুলে নিয়ে গিয়েও অস্বীকার করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘কোথাও কোথাও জঙ্গী-সন্ত্রাসীদের মতো জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করছে নামধারী আওয়ামী পুলিশ লীগ। কোথাও কোথাও বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের না পেয়ে বাথরুম থেকে পানি এনে বাসার সব বিছানায় ঢেলে দিয়েছে তারা। সারা দেশে দলদাস পুলিশ বাহিনী বিনা মামলায় বিনা ওয়ারেন্টে বা গায়েবি মামলায় পাইকারি হারে হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে নির্যাতন করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তুলে নিয়ে গিয়ে বন্দি অবস্থায় অনেককে কোমর থেকে পায়ের তালু অবধি হাতুড়িপেটা করে অচল করে দেওয়া হচ্ছে। এসব চরম মানবতাবিরোধী, যা বাংলাদেশ স্বাক্ষরকৃত জাতিসংঘের কমিটি অ্যাগেইনস্ট টর্চার (নির্যাতন বিরোধী কমিটি-ক্যাট) এবং নিপীড়নবিরোধী আন্তর্জাতিক কনসোর্টিয়াম ইউনাইটেড অ্যাগেইনস্ট টর্চার (ইউএটি) অনুযায়ী একটি গণবিরোধী ভয়াবহ অপরাধ। যা আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার এবং কঠিন শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘আপনারা ভোটের অধিকার আদায়ে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনের প্রতিপক্ষ হবেন না। গণতন্ত্রকামী মানুষের জোয়ার ঠেকানো যাবে না। যেসব সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এখন পুলিশ কর্মকর্তা হয়ে গণতন্ত্রকামীদের হুমকি দিচ্ছেন, সবাইকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে ভয় দেখাচ্ছেন, তারা গণবিরোধী অবস্থান থেকে সরে আসুন। অন্যথায় পুলিশের মর্যাদাপূর্ণ ইউনিফর্ম খুলে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে রাজপথে নামুন।’








 সরকারের পেছনে আজরাঈল দাঁড়িয়ে গেছে : মির্জা ফখরুল
 

বর্তমান সঙ্কট থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ, পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আর সময় নেই সরকারর। এদের পেছনে আজরাঈল দাঁড়িয়ে গেছে। আর পার পাবেন না।

শনিবার (৩ জুন) নয়া পল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


গুম-নিপীড়ণে জড়িতদের তালিকা তৈরিতে কমিটি করেছে বিএনপি

শনিবার (৩ জুন) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কমিটির কথা জানান তিনি।
তিনি জানান, রুহুল কবির রিজভীকে আহ্বায়ক করে এ কমিটি ১৪ সদস্য বিশিষ্ট করা হয়েছে।
কমিটিতে আরো আছেন- যুগ্ম মহাসচিব
হাবিব উন-নবী খান, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু,
নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, আকরামুল হাসান, মোঃ আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী, ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল, যুব দলের দপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান দুলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম, মো. মাহবুবুর রহমান ও সালাহ উদ্দিন খান-পিপিএম।
রিজভী বলেন, "উল্লিখিত কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে তথ্যাদি পাঠানো যাবে, বা সরাসরি নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসেও তথ্যাদি দেয়া যাবে।"
রিজভী বলেন, "আপনারা লক্ষ্য করেছেন যে, ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীদের পাশাপাশি দেশের অধিকাংশ এলাকায় অতি উৎসাহী কিছু পুলিশ কর্মকর্তা-কর্মচারী ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে বিনা কারণে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকারী নাগরিকদের ওপর খুন, গুম, মিথ্যা মামলা, শারীরিক-মানসিক নির্যাতন করে অর্থ আদায়সহ নানা ধরণের জঘন্য অনাচারে লিপ্ত হয়ে পড়েছে। অথচ একটি গণতান্ত্রিক দেশে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ প্রদর্শন ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা সেই দেশের প্রতিটি নাগরিকের অধিকার। দেশে দেশে সকল স্বৈরাচারই এ ধরণের মানবিক ও মৌলিক অধিকার কেড়ে নেয়। আর যারা এই কাজটি বাস্তবায়ন করে তারা মূলত: ফৌজদারী অপরাধ করে।
এতদসকল গায়েবী মামলা, মিথ্যা মামলা, গুম, খুন, সহিংস আক্রমণ, অগ্নিসংযোগসহ গণতন্ত্র পুণরুদ্ধারে বাধা প্রদানকারী ব্যক্তিবর্গের তথ্যাদি সংগ্রহ যেমন সহিংসতায় লিপ্ত ব্যক্তিবর্গের নাম ও ভিডিও-অডিও রেকর্ড, ফটোগ্রাফ ইত্যাদি তথ্য সংগ্রহের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণকল্পে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র একটি ‘তথ্য সংগ্রহ কমিটি’ গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি সংগৃহিত তথ্য পরীক্ষা ও পর্যালোচনা করে যথাসমীচিন ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে তা সংরক্ষণ ন।করবে"


সুদানে সংঘাত যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও খার্তুমে বিমান হামলা

বেসামরিক লোকজনকে সরে যেতে দেওয়ার লক্ষ্যে যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও সুদানের রাজধানী খার্তুমে বিমান হামলার ঘটনা ঘটেছে। দেশটির সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা দেশটির আধা সামরিক বাহিনীকে (র‍্যাপিড রেসপন্স ফোর্স) নির্মূল করতে শহরটিতে আক্রমণ করছে।

দুই পক্ষ থেকেই তিন দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পরও লড়াই তীব্র হয়েছে। ১৫ এপ্রিল শুরু হওয়া এ লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তবে নিহত ব্যক্তিদের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে। খার্তুমে লাখো মানুষ বন্দী হয়ে পড়েছেন।

ক্ষমতার দ্বন্দ্বে সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং আধা সামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) প্রধান মোহাম্মদ হামদান দাগলোর বাহিনীর মধ্যে এই লড়াই শুরু হয়। হামদান অবশ্য হেমেদতি হিসেবেই বেশি পরিচিত।

লড়াই শুরু হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জাতিসংঘের প্রচেষ্টায় একাধিকবার অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হন বুরহান ও হেমেদতি। তবে এসব অস্ত্রবিরতির কোনোটিই সেভাবে কার্যকর হয়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদির মধ্যস্থতায় চুক্তির পরবর্তী পর্যায়ে তারা কী করবে তা এখনও স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।

গতকাল রোববার যুদ্ধ বিরতি আরও তিন দিন বর্ধিত করার আগে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা আরএসএফের বিরুদ্ধে খার্তুমের সিটি সেন্টারের উত্তরে অভিযান চালাচ্ছে।













 খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে
খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে

ঢাকা: শারীরিক পরীক্ষা করাতে রাজধানীর এবারকেয়ার হাসপাতালের পৌঁছেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।

খালেদা জিয়াকে বিকেলে হাসপাতালে নেওয়া হবে 

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আবারও শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। শনিবার (২৯ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে

সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) বেলা পৌনে দুইটার দিকে খালেদা জিয়ার দু’নাতনি জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমান বিমানবন্দর থেকে সরাসরি তার গুলশান এলাকার বাসভবনে প্রবেশ করেন। দু’মেয়ের সঙ্গে তাদের মা শর্মিলা রহমান সিঁথিও আছেন।

তারা সবাই খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঈদ করবেন। এছাড়া শর্মিলা রহমানের মাও ঢাকায় থাকেন। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে অসুস্থ। দু’মেয়ে নিয়ে তার বাসায় যাবেন সিথী।

রমজানের প্রথম দিকে শর্মিলা রহমান একা ঢাকায় এসে আবার লন্ডনে ফিরে যান।

এক এগারো সরকারের সময় স্বামী কোকোর সঙ্গে মালয়েশিয়ায় যান শর্মিলা। ২০১৫ সালে কোকোর মৃত্যুর পর দু’মেয়েকে নিয়ে লন্ডনে যান। বড় ভাই তারেক রহমানের তত্ত্বাবধানে সেখানেই অবস্থান করছেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২৩

ঢাকা: বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান দুই মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় এসেছেন।

বিএনপি ও খালেদা জিয়ার পারিবারিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেলেও আনুষ্ঠানিকভাবে তারা কিছু জানায়নি।


ইসির চিঠি সরকারের নতুন কৌশল: ফখরুল


ঢাকা: আসন্ন পাঁচ সিটি করপোরশন নির্বাচনে কোনোভাবেই অংশ না নেওয়ার বিষয়ে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।  

তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আমরা যাচ্ছি না।

বিশেষ করে, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে। পরিস্কার বলে দিয়েছি, মেয়র বা কমিশনার নির্বাচনে আমাদের দল কোনোভাবেই অংশ নেবে না।

শনিবার (২৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়া শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নির্বাচন ও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই সরকার (আওয়ামী লীগ) অত্যন্ত সচেতনভাবে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে, তাদের পুরোনো লক্ষ্য একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশালের ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে চায়।

মির্জা ফখরুল বলেন, সেই লক্ষ্যে তারা ২০১৪ সালের নির্বাচনকে সম্পূর্ণভাবে প্রশাসনে পরিণত করেছে। নির্বাচনের জনগণ ভোট দিতে যায়নি। একইভাবে ২০১৮-তে আগের রাতে ভোট করে দিয়ে জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। জনগণ সেখানেও অংশগ্রহণ করেনি। আপনারা লক্ষ্য করেছেন, এমনকি স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও জনগণ অংশগ্রহণ করছে না। ভোটাররা যাচ্ছে না। সম্প্রতি যে ভোট হয়ে গেল, সে ভোটে মাত্র ১৪ পার্সেন্ট মানুষ ভোট দিতে গেছে। সহজেই জনগণ বোঝে, এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে কোনোদিনই সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হবে না। জনগণ সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না।  

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চায়। বিশেষ করে, বিদেশে তাদের (আওয়ামী লীগের) ভাবমূর্তি ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারা সেই ভাবমূর্তি রক্ষা করতে চায়। কিন্তু এবার জনগণ জেগে উঠেছে। আমরা বিশ্বাস করি, জনগণ দুর্বার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এদেরকে পরাজিত করবে। সত্যিকার অর্থে গণতন্ত্রের সরকার প্রতিষ্ঠা করবে।  

আরেক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আমরা যাচ্ছি না। বিশেষ করে, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে। পরিস্কার বলে দিয়েছি, মেয়র বা কমিশনার নির্বাচনে আমাদের দল অংশগ্রহণ করবে না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। তার চিকিৎসা দরকার। আপনারা জানেন, তিনি খুবই অসুস্থ। সেজন্য তার দেশের বাইরে নিয়ে সুচিকিৎসা দরকার। যেহেতু সরকার সেটা হতে দিচ্ছে না। ‌সেই কারণে আমরা দেশেই তার (খালেদা জিয়ার) চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২৩
এমএমআই/এনএস











 সরকার নিজেদের রক্ষা করতে পারবে না, জনগণ ফুঁসে উঠেছে: মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমানে দেশে আইনের শাসন নেই। সরকারের দমন-পীড়নে জনগণের গণতান্ত্রিক ও মৌলিক অধিকার এখন ক্ষতবিক্ষত। তবে নির্মম কর্মকাণ্ড সংঘটিত করেও নিশিরাতের এই সরকার শেষ পর্যন্ত নিজেদের রক্ষা করতে পারবে না।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো দুটি পৃথক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম এসব কথা বলেন।

খুলনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত নাশকতার এক মামলায় বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলালসহ ১৩ নেতাকে কারাগারে পাঠান। একইভাবে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি এবং মাগুরা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ২৪ নেতা–কর্মীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান পৃথক আদালত

এর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম এই বিবৃতি দেন। তিনি দাবি করেন, ‘অসত্য ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ মামলায় তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়।

বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে আইনের শাসন না থাকায় ঘরে-বাইরে কারও জীবনের নিরাপত্তা নেই। নির্দোষ লোককে অপরাধী সাজিয়ে মামলা, গ্রেপ্তার, কারান্তরীণ ও হয়রানি করা হচ্ছে। বিরোধী দলের আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে এবং বিরোধী নেতা-কর্মীসহ সাধারণ নাগরিকদের মনে ভীতি সঞ্চার করতেই সরকার ফ্যাসিবাদী কায়দায় জুলুম-নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘দেশের সার্বিক অবস্থায় এটি সুস্পষ্ট যে কর্তৃত্ববাদী সরকার কোনোভাবেই বিরোধী দল ও বিরোধী মত সহ্য করছে না। তারা গণতন্ত্রকে ধ্বংসের মাধ্যমে একদলীয় শাসনব্যবস্থা চিরস্থায়ী করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। বিচারকেরা আইন মোতাবেক বিচারকাজ পরিচালনা করতে পারছেন না বলেই বিরোধীদলীয় নেতা–কর্মীরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বর্তমান সরকারে দুঃশাসনের বিরুদ্ধে বিএনপির প্রতিবাদী নেতৃত্ব ধ্বংস করতেই অবৈধ সরকার মিথ্যা মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে নেতাদের কারাগারে পাঠিয়েছে। এটি বর্তমান ভয়াবহ দুঃশাসনের আরেকটি নগ্ন প্রকাশ। এসব করে আওয়ামী সরকার নিজেদের রক্ষা করতে পারবে না। কারণ, জনগণ কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী সরকারের নিষ্ঠুর আচরণের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে।

বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল প্রতিহিংসামূলক মামলায় গণগ্রেপ্তার বন্ধ এবং আদালতকে দিয়ে জামিন নামঞ্জুরের মাধ্যমে কারান্তরীণ বন্ধ করার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে আটক নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান I




বরিশাল সিটি নির্বাচন কামরুলই কি বিএনপির বিকল্প প্রার্থী হয়ে উঠবেন

বরিশাল সিটিকরপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নানা কারণে কামরুল আহসান ওরফে রূপণ শেষ পর্যন্ত ভালো প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠতে পারেন। বিএনপির ভোটাররা তাঁর দিকে ঝুঁকে পড়তে পারেন। তাঁর প্রয়াত বাবার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, জনপ্রতিনিধি হিসেবে নেতৃত্ব দেওয়াসহ পারিবারিক ঐতিহ্য তাঁকে এমন সুবিধাজনক অবস্থানে আনতে পারে বলে মনে করছেন নির্বাচন–সংশ্লিষ্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, বরিশালসহ দেশের পাঁচ সিটির নির্বাচনে এবার অংশ নিচ্ছে না বিএনপি। কিন্তু ভোটের মাঠে তাদের আলাদা একটি গুরুত্ব আছে। কারণ, বিএনপির আলাদা ভোটব্যাংক এবং বিগত দিনে নগর ও ওয়ার্ড পর্যায়ে ভোটের মাঠে দীর্ঘদিনের সম্পৃক্ততা। দলটি এবার সিটি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেওয়ায় বরিশালে চরম অস্বস্তিতে পড়েছেন নেতা–কর্মীরা।

বিএনপির ভোট বর্জনের ঘোষণার পর নগরে ভোটারদের মধ্যে যে প্রশ্নটি এখন বেশি আলোচিত হচ্ছে, তা হলো, দলটির বিপুল ভোটার বিকল্প প্রার্থী হিসেবে কাকে সমর্থন দেবেন? বরিশালে এবার আওয়ামী লীগ, ইসলামী আন্দোলন, জাতীয় পার্টি ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থিতার ঘোষণা দিয়েছেন কামরুল আহসান। বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ।

কামরুল আহসানের বাবা আহসান হাবিব কামাল গত বছর মারা যান। তিনি বরিশাল মহানগর বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির মৎস্যজীবী–বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। এ ছাড়া তিনি বরিশাল পৌরসভার মেয়র ছিলেন। ২০১৩ সালে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের তৎকালীন মেয়র শওকত হোসেন হিরনের সঙ্গে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ১৭ হাজার ১০ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন আহসান হাবিব কামাল। সেই হিসাবে কামরুল আহসানই বিএনপির ভোটারদের আনুকূল্য পাওয়ার আলোচনা ক্রমে জোরালো হচ্ছে।

বরিশালের বিএনপি নেতারা মনে করেন, ইসলামী আন্দোলন সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনে নেই। আর জাপা সরকারি দলের সঙ্গে সহঅবস্থানে আছে। সে ক্ষেত্রে বিএনপির বিশাল ভোট ব্যাংকের শেষ বিকল্প কী—এটা ঘুরেফিরে আলোচিত হচ্ছে ভোটার ও সচেতন মহলে। বিএনপির নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যেও এ নিয়ে ভেতরে-ভেতরে আলোচনা আছে।














  আজমত উল্লার সামনে বড় যে চ্যালেঞ্জ,নতুন রাষ্ট্রপতির শপথ বঙ্গভবনের নতুন বাসিন্দা মো. সাহাবুদ্দিন 

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাময়িক বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলম দল থেকে বহিষ্কার থাকা অবস্থায় তাঁর সঙ্গে অনেক নেতা-কর্মীর সখ্য ছিল। ওই সময় মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খান ও সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মণ্ডল দুই শতাধিক নেতা-কর্মীকে কারণ দর্শাও (শোকজ) নোটিশ দিয়েছিলেন। কারণ দর্শাওয়ের জবাবও দিয়েছিলেন অনেকে। আসন্ন সিটি নির্বাচনে সেই সব নেতাকে মাঠে নামানো দলীয় প্রার্থী আজমত উল্লার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করছেন দলের নেতা-কর্মীরা।

চ্যালেঞ্জের কারণ খুঁজতে গিয়ে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের অন্তত আট নেতার সঙ্গে কথা হয়েছে প্রথম আলোর এই প্রতিবেদকের। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাঁরা জানিয়েছেন, জাহাঙ্গীর আলমকে ২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত এবং দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কারের পর তাঁর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে দুই শতাধিক নেতাকে কারণ দর্শাও নোটিশ দেয় মহানগর আওয়ামী লীগ। গত বছরের ১ জুন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. আতাউল্লাহ মণ্ডল ওই কারণ দর্শাও নোটিশে স্বাক্ষর করেন। কারণ দর্শাও নোটিশপ্রাপ্ত নেতাদের মধ্যে ১৯ জন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটিতে বিভিন্ন পদে ছিলেন। অপর শতাধিক ব্যক্তি নগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের কমিটিতে থাকা নেতা-কর্মী। কারণ দর্শাও পাওয়া অনেক নেতাকে দলে সক্রিয় দেখা গেলেও ক্ষোভ কাটেনি তাঁদের। এ ছাড়া গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৭৬ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ৬১ জন সাময়িক বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিলেন। এই কাউন্সিলরদেরও কারণ দর্শাও নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। এখন ওই সব কাউন্সিলরকেও নৌকার পক্ষে কাজ করানো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করছেন নেতারা।

কারণ দর্শাও চিঠি পাওয়া গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের আগের কমিটির সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রউফ বলেন, ‘আমাদের শোকজ দেওয়া হলেও পরবর্তী পদক্ষেপ কী, তা এখনো জানানো হয়নি। তবে দলের কঠিন সময়ে যদি আমাদের প্রয়োজন হয়, তাহলে দল অবশ্যই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে।’
কারণ দর্শাও নোটিশ পাওয়া কয়েকজন নেতা বলেন, সামনে সিটি নির্বাচন, এ সময় তুচ্ছ অজুহাতে দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের দল থেকে বাদ দেওয়া এবং দলের কর্মকাণ্ড থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করা হলে সেটা দলের জন্য শুভংকর কিছু হবে না। আগামী ২৫ মে সিটি নির্বাচন। এ সময় নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রাখতে দলের নেতাদের এগিয়ে আসতে হবে।

চ্যালেঞ্জের কারণ খুঁজতে গিয়ে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের অন্তত আট নেতার সঙ্গে কথা হয়েছে প্রথম আলোর এই প্রতিবেদকের। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাঁরা জানিয়েছেন, জাহাঙ্গীর আলমকে ২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত এবং দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কারের পর তাঁর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে দুই শতাধিক নেতাকে কারণ দর্শাও নোটিশ দেয় মহানগর আওয়ামী লীগ। গত বছরের ১ জুন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. আতাউল্লাহ মণ্ডল ওই কারণ দর্শাও নোটিশে স্বাক্ষর করেন। কারণ দর্শাও নোটিশপ্রাপ্ত নেতাদের মধ্যে ১৯ জন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটিতে বিভিন্ন পদে ছিলেন। অপর শতাধিক ব্যক্তি নগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের কমিটিতে থাকা নেতা-কর্মী। কারণ দর্শাও পাওয়া অনেক নেতাকে দলে সক্রিয় দেখা গেলেও ক্ষোভ কাটেনি তাঁদের। এ ছাড়া গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৭৬ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ৬১ জন সাময়িক বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিলেন। এই কাউন্সিলরদেরও কারণ দর্শাও নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। এখন ওই সব কাউন্সিলরকেও নৌকার পক্ষে কাজ করানো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করছেন নেতারা।

কারণ দর্শাও নোটিশ পাওয়া নেতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের আগের কমিটির সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রউফ, সহসভাপতি ও গাজীপুর আদালতের জিপি আমজাদ হোসেন, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও গাজীপুর জেলা পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান এস এম মোকছেদ আলম, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবুর রহমান, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সিটি কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মনির হোসেন মিয়া, সহদপ্তর সম্পাদক মাজহারুল আলম, ক্রীড়া সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান, সদস্য ও সিটি কাউন্সিলর আজিজুর রহমান, সদস্য রজব আলী, সদস্য হাজি আবদুর রশিদ, উপদেষ্টা রিয়াজ মাহমুদ আয়নাল প্রমুখ।



নতুন রাষ্ট্রপতির শপথ

বঙ্গভবনের নতুন বাসিন্দা মো. সাহাবুদ্দিন 

মো. সাহাবুদ্দিন এমন এক সময় দেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নিলেন, যখন জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিরোধ বাড়ছে। 


বঙ্গভবনের নতুন বাসিন্দা হলেন মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন। এরপর গত রাত পৌনে নয়টায় সপরিবার বঙ্গভবনে উঠেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। বঙ্গভবন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির কার্যালয় ও বাসভবন। 

রাষ্ট্রপতির শপথ অনুষ্ঠান গতকাল বেলা ১১টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে অনুষ্ঠিত হয়। নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে শপথবাক্য পাঠ করান জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সামরিক-বেসামরিক আমলা, বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিসহ বিশিষ্ট নাগরিকেরা উপস্থিত ছিলেন। 

এমন এক সময়ে মো. সাহাবুদ্দিন রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নিলেন, যখন জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিরোধ বাড়ছে। এই বিরোধের মূলে আছে নির্বাচনী ব্যবস্থা। 

রাজনৈতিক বিরোধ মেটাতে কোনো ধরনের আলোচনা বা সংলাপের উদ্যোগ নেওয়ার বিষয়ে নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখবেন তিনি। রাষ্ট্রপতি হিসেবে তাঁর করণীয় কিছু থাকলে তিনি তা করবেন। ১৭ এপ্রিল নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে কথা বলেছে । 

মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে আলোচনায় দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রসঙ্গও এসেছিল। তিনি ব্যক্তিগতভাবে মনে করেন, ভোটকেন্দ্রে জনগণের যাওয়ার মতো পরিবেশ তৈরি করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। সেই দায়িত্ব সুচারুভাবে পালনের জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি তাঁর আহ্বান থাকবে। 

গতকাল সকালে নতুন রাষ্ট্রপতির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের পর বঙ্গভবনে সদ্য সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সাংবাদিকদের বলেন, নতুন রাষ্ট্রপতি সাংবিধানিক দায়িত্ব সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে পালন করবেন—এটাই জাতির এবং তাঁর প্রত্যাশা। 

আগামী ৮ থেকে ৯ মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন হতে যাচ্ছে। বিএনপিসহ সরকারবিরোধী বিভিন্ন দল নির্দলীয় সরকারব্যবস্থার দাবিতে আন্দোলন করছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সংবিধান অনুযায়ী অর্থাৎ তাদের সরকারের অধীনেই নির্বাচন হওয়ার কথা বলে আসছে। এমন পরিস্থিতিতে সামনের দিনগুলোতে নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে দলগুলোর বিরোধ আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। এই পটভূমিতে নতুন রাষ্ট্রপতি কী ভূমিকা নেন, সেদিকে অনেকের নজর থাকবে। সহনশীল পরিবেশ তৈরিতে তিনি ভূমিকা রাখবেন, এমন প্রত্যাশাও আছে বহু মানুষের।



Post a Comment

Previous Post Next Post