হাসপাতালে রোগীদের কষ্ট।
মুঠোফোন সেবা বিঘ্নিত।
ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলা যায়নি।
আদালত চলেছে মোমবাতি জ্বালিয়ে।
কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত।
পূজামণ্ডপে বাড়তি সতর্কতা।
জেনারেটরের ডিজেল কিনতে ভিড়।
বিপর্যয়ের কারণ জানা যায়নি।
- জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ে দুপুর থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এতে বিপাকে পড়েন অনেকে। ঢাকায় বিভিন্ন ভবন ও স্থাপনায় জেনারেটর ব্যবহারের জন্য ডিজেল কিনতে ফিলিং স্টেশনে ভিড় ক্রেতাদের। গতকাল সন্ধ্যা পৌনে সাতটায় রাজধানীর মহাখালীতে।
এক মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের মুখে পড়ল দেশ। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় গ্রিড পূর্বাঞ্চলে বিপর্যয় দেখা দিলে চার ঘণ্টা পুরোপুরি বিদ্যুৎহীন ছিল রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ বিভাগসহ দেশের ৩২ জেলা। কোনো কোনো এলাকায় ৮ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় বিদ্যুৎ ছিল না।
টানা বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় ভোগান্তিতে পড়ে কোটি কোটি মানুষ। ব্যাহত হয় চিকিৎসা, টেলিযোগাযোগ, ব্যাংকের লেনদেনসহ জরুরি সেবা। উৎপাদন ব্যাহত হয় কারখানায়।
এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর একবার গ্রিড বিপর্যয় হয়েছিল। তখন দেড় ঘণ্টা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন ছিল দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অধিকাংশ এলাকা।
বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে, গতকাল বেলা ২টা ৫ মিনিটের দিকে জাতীয় গ্রিডের পূর্বাঞ্চলে (যমুনা নদীর এপার) বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দেয়। সন্ধ্যা ছয়টা থেকে ধাপে ধাপে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। তবে রাত ১০টায়ও অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, ঘোড়াশাল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ নেওয়ার সময় বিপর্যয়ের সূত্রপাত হয়। তবে সেটি কেন হয়েছে, তা বলতে পারেনি তারা। ঘটনা অনুসন্ধানে দুটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করার নির্দেশনা দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, দুটি তদন্ত কমিটির একটি গঠন করা হবে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের সদস্য করে। অন্যটি বিদ্যুৎ বিভাগই তৃতীয় পক্ষের লোকদের দিয়ে গঠন করবে।
ঘটনার পর গত রাতে দেশের একমাত্র বিদ্যুৎ সঞ্চালনকারী সংস্থা পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) ছয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। এর প্রধান করা হয়েছে পিজিসিবির নির্বাহী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মো. ইয়াকুব ইলাহী চৌধুরীকে।
এক মাসের মধ্যে জাতীয় গ্রিডে দ্বিতীয়বার বিপর্যয়। ঢাকাসহ ৩২ জেলার কোথাও ৪ ঘণ্টা, কোথাও ৮ ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ ছিল না।
রোগীদের দুর্ভোগ
বেলা দুইটার দিকে যখন বিদ্যুৎ চলে যায়, তখন রাজধানীবাসী একে স্বাভাবিক লোডশেডিং হিসেবেই ধরে নিয়েছিল। তবে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের খবর ছড়িয়ে পড়তেই জেনারেটরের জন্য জ্বালানি তেল কিনতে ভিড় শুরু হয় ফিলিং স্টেশনগুলোতে। কিছু ক্ষেত্রে হাসপাতাল, অফিস–আদালত, বিপণিবিতান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়িতে একটা সময় পর আর জেনারেটর চালানো সম্ভব হয়নি। রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ ওয়ার্ডে বিদ্যুৎ নেই। রোগীরা নিজের মুঠোফোনের আলো জ্বালিয়ে জরুরি কাজ সারছেন।
ভারতের মধ্যপ্রদেশে গোয়ালিওর এলাকার একটি পরিবারকে এক মাসের বিদ্যুৎ খরচ বাবদ ৩ হাজার ৪০০ কোটির রুপিরও বেশি বিল পাঠিয়েছে স্থানীয় বিদ্যুৎ বিভাগ। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের জ্বালানিমন্ত্রী প্রাদ্যুমান সিং তোমার বলেছেন এটি ছিল ভুল বিল। ভুক্তভোগী পরিবারটির অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মকর্তাকে বরখাস্ত এবং অপর এক কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
গোয়ালিওর এলাকার শিব বিহার কলোনির একটি পরিবারের সদস্যরা সম্প্রতি মোবাইলে বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে পাওয়া একটি বার্তা দেখে আঁতকে ওঠেন। সেখানে লেখা আছে এক মাসের বিদ্যুৎ বিল বাবদ তাঁদেরকে ৩ হাজার ৪১৯ কোটি ৫৩ লাখ ২৫ হাজার ২৯৩ রুপি পরিশোধ করতে হবে। এই বিশাল অংকের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের বার্তাটি পাওয়ার পর পরিবারটির দুই সদস্য অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরিবারটি বলছে, প্রিয়াঙ্কা গুপ্ত এবং তাঁর বাবা রাজেন্দ্র গুপ্ত বার্তাটি পাওয়ার পর অস্বস্তি বোধ করার কথা বলেছিলেন। পরে তাঁদের হাসপাতালে নেওয়া হয়।
প্রিয়াঙ্কার গুপ্ত নামের ওই নারীর স্বামী সঞ্জীব কানকানে বার্তা সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, বিল দেখে তাঁর শ্বশুরের রক্ত চাপও বেড়ে গিয়েছিল।
সঞ্জীব আরও বলেন ২০ জুলাই তারিখে তৈরি হওয়া বিলটি মধ্য প্রদেশের মধ্যক্ষেত্র বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির পোর্টালের মধ্য দিয়ে সত্যতা যাচাই করা হয়েছিল। সেখানে বিলটি শুদ্ধ বলে উল্লেখ করা হয়।
ভুল বিদ্যুৎ বিল পাঠানোর এ ঘটনাটি নিয়ে দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দেন জ্বালানিমন্ত্রী প্রাদ্যুমান সিং তোমার। তিনি বলেন, জানা গেছে বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মী ভুল করে মোট খরচ করা বিদ্যুতের পরিমাণের জায়গায় গ্রাহকের নম্বর লিখে ফেলেছিলেন। আর এর ভিত্তিতেই বিলটি তৈরি করা হয়। এখন ওই বাড়ির বিলের পরিমাণ কমিয়ে ১ হাজার ৩০০ রুপি করা হয়েছে।
তোমার আরও ঘোষণা করেন, এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তাকে বরখাস্ত এবং আরেকজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারকেও কারণ দর্শাও নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
রাষ্ট্র পরিচালিত বিদ্যুৎ কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক নিতিন মাংলিক একে মানুষের ভুল বলে উল্লেখ করেছেন। এটি সংশোধন করার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
তিন মাস আগে দুর্নীতিবাজদের চাপিয়ে জাতিকে অপমান করা হয়েছিল : ইমরান খান
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী স্মরণ করেন যে, পিটিআই যখন ২৫ মে তাদের ‘আজাদী মার্চ’ ঘোষণা করেছিল, ‘তারা [জোট সরকার] হাকীকী আজাদীকে সমর্থন করার জন্য বেরিয়ে আসা পরিবারগুলোর জন্য প্রতিবন্ধকতা তৈরি করার জন্য সমস্ত প্রচেষ্টা চালিয়েছিল’।
‘আজ, আমি সর্বশক্তিমানকে ধন্যবাদ জানাতে চাই যে, সমস্ত প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও লোকেরা ভয়ে বাড়িতে থাকার পরিবর্তে সমর্থন দেখানোর জন্য বেরিয়ে এসেছিল’। তিনি যোগ করেছেন যে, তিনি আনন্দিত, পাকিস্তানের জনগণ এখন একটি জাতি হতে শুরু করেছে।
‘আমার সারাজীবনে, আমি এর আগে একবারই এমন উদ্যম দেখেছি এবং সেটা ১৯৬৫ সালের যুদ্ধের সময়; তখন সবাই ভেবেছিল জাতি যুদ্ধ করছে এবং এখন, আমি পাঞ্জাবের ২০টি আসনে উপনির্বাচনের সময় জনগণের মধ্যে একই উৎসাহ দেখেছি’ তিনি বলেন।
খান আরো যোগ করেছেন যে, উপনির্বাচনে পিটিআইকে পরাজিত করার জন্য সমস্ত প্রচেষ্টা করা হয়েছিল। ‘প্রথমত, হামজাকে আমাদের ওপর বেআইনিভাবে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল’ এবং এমনকি যখন তাকে সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক ব্যক্তিগত লাভের জন্য কোনো রাষ্ট্রযন্ত্র এবং প্রশাসন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তখনও তিনি নির্বাচন কারচুপির জন্য উল্লিখিত সমস্ত ব্যবহার করেন।
ইসিপির বিরুদ্ধে হামজাকে সমর্থন করার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন: ‘নির্বাচন কমিশনও উপনির্বাচনে পিএমএল-এনকে সাহায্য করে আমাদের পরাজিত করার চেষ্টা করেছিল’।
তার দলের জয়কে একটি ‘অলৌকিক’ বলে অভিহিত করে তিনি বলেন, সমস্ত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও পিটিআই জিততে সক্ষম হয়েছে কারণ জনগণ তাদের ভোট দিতে এসেছিল। তিনি বলেন, নতুন ইতিহাস লেখা হচ্ছে।
পিটিআই চেয়ারম্যান বলেছেন, পাকিস্তানের সমস্ত অর্থনৈতিক সূচকগুলো দেখিয়েছে যে, পিটিআই এর আমলে অর্থনীতি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল, বলেছেন যে অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২১-২২ দেখায় যে ১৭ বছর পরে এই ধরনের বৃদ্ধি দেখা গেছে।
স্বাস্থ্য কার্ড উদ্যোগসহ তার সরকার ঘোষিত ত্রাণ প্যাকেজগুলো তুলে ধরে খান বলেন যে, দলের প্রচেষ্টা দেশকে একটি কল্যাণ রাষ্ট্রের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
কোয়ালিশন সরকারকে তিরস্কার করে তিনি বলেন, পিটিআই-এর নেতৃত্বাধীন সরকারের সাড়ে তিন বছরে মার্কিন ডলার ক্রমবর্ধমানভাবে ৫০ টাকা অবমূল্যায়িত হয়েছিল; তবে, জোট সরকারের প্রথম তিন মাসে এটি প্রায় ৫৩ টাকা দর হারিয়েছে।
‘তবে প্রশ্ন একই রয়ে গেছে: দেশ যখন ভাল চলছিল, তাহলে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব জানা সত্ত্বেও কেন ষড়যন্ত্রের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল’? তিনি কর্তৃপক্ষকে প্রশ্ন করেন - যা তার মতে - ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে পারত।
দেশের সমস্যার সমাধানের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, সংকট থেকে উত্তরণের একটাই পথ। ‘স্বচ্ছ নির্বাচন পরিচালনার জন্য একটি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করা উচিত’। তিনি বলেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার সাথে সাথে ফলাফল ঘোষণা করায় কারচুপি বন্ধ করা যেত এবং এটি ১৩০টি কারচুপির পদ্ধতি বন্ধ করতে পারে।
খান স্বীকার করেছেন যে, বর্তমান পরিস্থিতি কঠিন ছিল এবং যোগ করেছেন যে, ‘এই জোট সরকার যত বেশি সময় ক্ষমতায় থাকবে, জনগণের পক্ষে [টিকে থাকা] ততই কঠিন হবে’।
তিনি বলেন, বিদেশ থেকে আমদানি করা সরকারের বিরুদ্ধে জনগণ সেøাগান তুলেছিল। তিনি বলেন, আমরা কৃষকদের সুদমুক্ত ঋণ দিয়েছিলাম যার ফলে আমাদের সময়ে ফসলের রেকর্ড উৎপাদন হয়েছে। আপনারা যেভাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন, আমি আপনাদের স্যালুট জানাই। তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত দেশে ডাকাতরা রাজত্ব করবে দেশ বিপদের মুখোমুখি হবেই।
‘হামজা শাহবাজকে অবৈধ মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছিল’
ইমরান খান বলেন, হামজা শাহবাজকে অবৈধভাবে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বসানো হয়েছে, জাতি কাউকে চাপিয়ে দেওয়া সহ্য করবে না। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে মানুষ যেভাবে বেরিয়ে এসেছিল, আমি এভাবে আগে কখনও মানুষকে বের হতে দেখিনি।
তিনি বলেন, জনগণকে দারিদ্র্য থেকে বের করে আনতে এহসাস কর্মসূচি আনা হয়েছিল এবং দরিদ্র মানুষকে ১০ লাখের স্বাস্থ্য বীমা দেওয়া হয়েছিল।
ইমরান খান বলেন, মোশাররফের আমলে ডলার এসেছিল, কারণ তখন আমরা সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে ছিলাম। আমাদের সরকার তথ্যপ্রযুক্তি ও স্বাস্থ্য খাতে নজর দিয়েছিল। গত দু’বছরে আইটি খাতে ৭৫ শতাংশ উন্নয়ন ঘটেছিল।
তিনি বলেন, আমাদের প্রবাসীরা লুটেরা সরকারের আহ্বান সত্ত্বেও রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছে না। কারণ তারা জানে যে, তারা যে ডলার পাঠাবে তা লুটেরারা পাচার করে দেবে। লুটেরাদের অর্থ বিদেশে থাকবে আর প্রবাসী পাকিস্তানিরা তাদের পরিশ্রমের টাকা পাঠিয়ে লুটেরাদের সহযোগিতা করবে, এটা হতে পারে না। সূত্র : ডন অনলাইন ও এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
উত্তর ফিলিপাইনের লুজোন দ্বীপে আঘাত হেনেছে শক্তিশালী ভূমিকম্প। ৭ মাত্রার এ ভূমিকম্পে ৪ জন নিহত এবং আহত হয়েছে অনেকে। শক্তিশালী এ ভূমিকম্পে ভেঙে পড়েছে অনেক ভবন।
স্বরাষ্ট্র সচিব বেঞ্জামিন অ্যাবলোস এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, বেঙ্গুয়ে প্রদেশে ২ জন, আবরা প্রদেশে ১ জন এবং অন্য প্রদেশে আরো ১ জন নিহত হয়েছে। এছাড়াও ৬০ জন আহত হয়েছে। ১৭৩টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৫৮টি ভূমিধসের খবর পাওয়া গেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ অনুসারে ভূমিকম্পটি ডোলোরেস শহরের প্রায় ১১ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে ১০ কিলোমিটার গভীরে আঘাত হানে। শক্তিশালী এ ভূমিকম্পের পর আবরা প্রদেশের একটি হাসপাতাল খালি করা হয়েছে। তবে সেখানে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। আবরা উত্তর ফিলিপাইনের একটি ভূবেষ্টিত প্রদেশ। এখানে প্রায় আড়াই লাখ লোকের বাস। এটি গভীর উপত্যকা এবং ঢালু পাহাড়ে ঘেরা।
ম্যানিলায়ও ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এখানে বেশ কয়েকটি বিল্ডিং খালি করা হয়েছে। কিছু লোককে একটি বিল্ডিংয়ের ৩০ তলা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এসময় শহরের মেট্রোরেল ব্যবস্থা বন্ধ রাখা হয়। সূত্র : আল-জাজিরা।
সুপ্রিম কোর্টে আরো স্বস্তির খবর পিটিআইর
পাকিস্তান তাহরিকে ইনসাফ (পিটিআই) গত বুধবার আরেকটি বিজয়কে স্বাগত জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট বিদেশী পাকিস্তানিদের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য দলের আবেদনের বিষয়ে রেজিস্ট্রার অফিসের আপত্তি খারিজ করে দিয়েছে। বিচারপতি সাজ্জাদ আলী শাহ, যিনি ১৪ আগস্ট অবসরে যাচ্ছেন, বিদেশী পাকিস্তানিদের অধিকার সংক্রান্ত সাম্প্রতিক আইনের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি দিয়েছেন। আপত্তি উল্টে দেওয়ার পর বিষয়টি শুনানির জন্য বেঞ্চে স্থির করা হবে। উজাইর ভান্ডারি পিটিআই-এর পক্ষে উপস্থিত থাকবেন।
একইভাবে পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বন্দিয়াল, বিচারপতি ইজাজ উল আহসান এবং বিচারপতি মনসুর আলি শাহের সমন্বয়ে গঠিত তিন বিচারপতির বেঞ্চ আগামীকাল শুক্রবার জাতীয় জবাবদিহি ব্যুরোর (এনএবি) আইনে সাম্প্রতিক সংশোধনীর বিরুদ্ধে পিটিআই প্রধান ইমরান খানের আবেদন গ্রহণ করবে। বর্তমানে ৪টি গুরুত্বপূর্ণ পিটিআই পিটিশন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন।
এর আগে, জাতীয় পরিষদ নির্বাচন (সংশোধনী) বিল, ২০২২ পাস করেছিল - ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর ব্যবহার অপসারণ এবং পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে বিদেশী পাকিস্তানিদের ভোটদান থেকে কার্যকরভাবে নিষেধ করে। বিলটি সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে পাস হয়। শুধুমাত্র গ্র্যান্ড ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের এমএনএরা এর বিরোধিতা করেছিলেন।
পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে আই-ভোটিং এবং ইভিএম ব্যবহারের আগে স্থানীয় উপ-নির্বাচনে পাইলট প্রকল্প পরিচালনার লক্ষ্য এই আইন। সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী মুর্তজা জাভেদ আব্বাসি সংশ্লিষ্ট স্থায়ী কমিটিকে বাইপাস করে বিলটিকে সরাসরি অনুমোদনের জন্য সিনেটে পাঠানোর অনুমতি দেওয়ার জন্য একটি প্রস্তাবও পেশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজের বিরুদ্ধে লাহোর হাইকোর্টে যাচ্ছে পিটিআই : পাকিস্তান তাহরিকে ইনসাফ (পিটিআই) গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ এবং তার মন্ত্রিসভাকে অফিস থেকে অপসারণের জন্য লাহোর হাইকোর্টের (এলএইচসি) দ্বারস্থ হয়েছে। পিটিআই নেতা আন্দালিব আব্বাস এবং হাসান নিয়াজির দায়ের করা একটি পিটিশনে অন্যদের মধ্যে ফেডারেল সরকার, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এবং পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি কে এ মামলায় পক্ষ করা হয়েছে।
পিটিশনে দাবি করা হয় যে, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং মামলার শুনানি চলাকালে তিনি এবং তার মন্ত্রিসভা তাদের লন্ডন সফরের সময় ঘোষিত অপরাধীদের সাথে দেখা করেছেন। পিটিআই যুক্তি দিয়েছে যে, ‘আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন’ করে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ তার ছেলে, সালমান শাহবাজ এবং তার স্ত্রীকে তুরস্কের সরকারি সফরে অন্তর্ভুক্ত করেন। পিটিশনে বলা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন।
পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) নেতাকে তার মন্ত্রিসভাসহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে অপসারণের দাবিতে, পিটিশনটি এলএইচসিকে তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রীকে দায়িত্ব নেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে।
সুপ্রিম জয়ের পর ভাষণ দেবেন ইমরান খান : পাকিস্তান তাহরিকে ইনসাফ (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান গতকাল বুধবার ঘোষণা করেন যে, তিনি ‘একটি সার্বভৌম পাকিস্তানের জন্য তাদের এগিয়ে যাওয়ার পথ’ দিতে রাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। ক্ষমতাচ্যুত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তার অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলে ‘গত সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের সমর্থনে বেরিয়ে আসার জন্য’ জাতিকে ধন্যবাদ জানাতে গিয়ে তিনি দাবি করেন যে, উচ্চাদালত সংবিধান ও আইনকে বহাল রেখেছেন। গতরাত ১০টায় ইমরানের ভাষণ দেয়ার কথা ছিল।
নবাগত শাহবাজ শরীফের নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোটের জন্য বিধ্বংসী আঘাতের পরে তার ঘোষণা আসে, যখন সুপ্রিম কোর্ট পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের বিষয়ে পাঞ্জাব বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার দোস্ত মুহাম্মদ মাজারির রায় বাতিল করে পিটিআই-এর নির্বাচিত চৌধুরী পারভেজ এলাহিকে ক্ষমতায় আরোহণের পথ প্রশস্ত করে। সূত্র : এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
বিশাল গ্যাস পাইপলাইন তৈরি করছে চীন ও রাশিয়া
সাইবেরিয়া থেকে সাংহাই পর্যন্ত গ্যাস পাঠাতে পারে এমন প্রথম পাইপলাইন নির্মাণের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে চীন ও রাশিয়া। চীনের রাষ্ট্রীয় মিডিয়া অনুসারে, এটি ডিসেম্বর ২০১৯ সালে উত্তর চীনে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ করা শুরু করে।
এ পাইপলাইনের রাশিয়ায় অবস্থিত অংশটিকে বলা হয় ‘পাওয়ার অফ সাইবেরিয়া’। চীনে, পাইপলাইনটি দেশের পূর্ব দিকে, রাজধানী বেইজিং এবং সাংহাই পর্যন্ত চলে গেছে। মধ্যম পর্বটি ২০২০ সালের ডিসেম্বরে কাজ শুরু করেছে এবং চূড়ান্ত দক্ষিণ অংশটি ২০২৫ সালে গ্যাস সরবরাহ শুরু করতে প্রস্তুত বলে চীনের রাষ্ট্রীয় মিডিয়া জানিয়েছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জ্বালানি কোম্পানি, রাশিয়ার গ্যাজপ্রম এবং চায়না ন্যাশনাল পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন, প্রায় আট বছর ধরে পাইপলাইন তৈরি করছে।
এমন সময়ে এ পাইপলাইন তৈরির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে যখন, মস্কো যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমামিত্রদের দ্বারা একের একের পর নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হচ্ছে। ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন হচ্ছে রাশিয়ার একটি বড় গ্রাহক যারা ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে রুশ গ্যাস আমদানি দুই-তৃতীয়াংশ হ্রাস করার লক্ষ্য রাখে। অন্যদিকে, চীন তার শক্তির উৎসকে বহুমুখী করার চেষ্টা করছে। বেইজিং ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে ইউক্রেনে অভিযানের জন্য মস্কোর নিন্দা করতে অস্বীকার করেছে। চীন-রাশিয়া গ্যাস পাইপলাইনের স্কেল নির্দেশ করে যে, এটি বেইজিংয়ের জন্য অনেকগুলি জ্বালানি বিকল্পের মধ্যে একটি মাত্র।
যদিও রাশিয়া চীনের সাথে তার পাইপলাইন চুক্তিতে ৫ হাজার ৫০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে বলে জানা গেছে, তবে চীন ডিসেম্বর ২০১৯ থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে মোট ৩৮১ কোটি ডলারের প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি করেছে। এ বছরের প্রথমার্ধে চীনের কেনাকাটার গতি বেড়েছে – যা এক বছর আগের থেকে প্রায় বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় তিনগুণ (১৬৬ কোটি ডলার) হয়েছে। চীন মূলত অপরিশোধিত তেল বেশি আমাদনি করে। সে তুলনায় প্রাকৃতিক গ্যাস চীনের জ্বালানি আমদানির একটিক্ষুদ্র ভগ্নাংশ হিসাবে রয়ে গেছে।
রাশিয়ান বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স অনুসারে, পাইপলাইনের মাধ্যমে চীনে গ্যাজপ্রমের গ্যাস রপ্তানি বছরের প্রথমার্ধে ৬৩ দশমিক ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৭৫০ কোটি ঘনমিটার হয়েছে। ফেব্রুয়ারির শুরুতে, চীন এবং রাশিয়া তাদের বার্ষিক গ্যাস ক্রয় চুক্তিতে পরিমাণ বাড়িয়ে ১ হাজার কোটি ঘন মিটার করেছে - তারা কখন এটি কবে ঘটবে তা নির্দিষ্ট করেনি তবে বলেছিল যে এটি একটি ‘দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি’।
দুই দেশ সাইবেরিয়া থেকে মঙ্গোলিয়ার মধ্য দিয়ে প্রত্যাশিত একটি গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণের বিষয়ে আলোচনা করেছে। ফিন্যান্সিয়াল টাইমস এই মাসে রিপোর্ট করেছে যে মঙ্গোলিয়া আশা করছে নতুন গ্যাস পাইপলাইন, ‘পাওয়ার অফ সাইবেরিয়া ২’ নামে পরিচিত, দুই বছরের মধ্যে নির্মাণ শুরু হবে। সূত্র : সিএনবিসি।
নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই ধারণার চেয়ে ভালো করছে রাশিয়া
ইউক্রেনে অভিযানের কারণে পশ্চিমাদের আরোপিত বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাশিয়ার অর্থনীতি ধারণার চেয়ে ভালো করছে। মঙ্গলবার প্রকাশিত বিশ্ব অর্থনীতির পর্যালোচনামূলক রিপোর্টে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। এদিকে, ক্রমবর্ধমান গ্যাস সঙ্কটের কারণে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউরোপের ঐক্য ক্ষুণ্ন হতে পারে বলে...
ইউক্রেনে অভিযানের কারণে পশ্চিমাদের আরোপিত বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাশিয়ার অর্থনীতি ধারণার চেয়ে ভালো করছে। মঙ্গলবার প্রকাশিত বিশ্ব অর্থনীতির পর্যালোচনামূলক রিপোর্টে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। এদিকে, ক্রমবর্ধমান গ্যাস সঙ্কটের কারণে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউরোপের ঐক্য ক্ষুণ্ন হতে পারে বলে মনে করছে মার্কিন প্রশাসন।
ইউক্রেন অভিযান শুরুর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা রাশিয়ার উপরে নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে যাতে মস্কো আন্তর্জাতিক মুদ্রা ব্যবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এ পদক্ষেপের মূল লক্ষ্য ছিল- যুদ্ধে রাশিয়ার তহবিল যোগানোর পথ বন্ধ করা। কিন্তু নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করে রাশিয়ার অর্থনীতি শক্তিশালী হয়েছে এবং দেশটির জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার পুনঃনির্ধারিত হয়েছে শতকরা ২ দশমিক ৫ ভাগে। অর্থাৎ যুদ্ধ এবং নিষেধাজ্ঞার পরও রাশিয়ার এ বছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার শতকরা ২ দশমিক ৫ ভাগ। এছাড়াও এ সময়ে জ্বালানি বিক্রিতে রাশিয়ার আয় বেড়েছে ও দেশটির মুদ্রা রুবল শক্তিশালী হয়েছে। রিপোর্টে আইএমএফ বলেছে, আমেরিকা, চীনসহ বড় বড় বিশ্ব অর্থনীতিগুলো মন্থর হয়ে পড়ছে।
রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, যুদ্ধ এবং নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল এবং জ্বালানিবহির্ভূত পণ্য রফতানির ব্যাপারে যা ধারণা করা হয়েছিল রাশিয়া তার চেয়ে ভালো করেছে। বিপরীত দিকে রাশিয়ার জ্বালানি খাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইউরোপ এখন বিপদের মুখে পড়েছে। রাশিয়া যদি ইউরোপে গ্যাস রফতানি বন্ধ করে দেয় তাহলে পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে খারাপ হবে। গ্যাস সঙ্কট ইউরোপের ঐক্য ক্ষুণ্ন করতে পারে : মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন আশঙ্কা করছে যে, রাশিয়া থেকে সরবরাহ হ্রাসের কারণে গ্যাসের ঘাটতি মস্কোর বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ঐক্যকে দুর্বল করতে পারে। মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে। একটি সূত্রের মতে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের বৈশ্বিক শক্তির সমন্বয়কারী আমোস হোচস্টেইন শীতকালে গ্যাসের ঘাটতির ক্ষেত্রে মার্কিন-ইউরোপীয় দুর্যোগ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতে প্যারিস এবং ব্রাসেলসে রওনা হয়েছেন।
‘ইউরোপের প্রভাব যুক্তরাষ্ট্রের উপর আবার বুমেরাং হতে পারে, প্রাকৃতিক গ্যাস এবং বিদ্যুতের দাম বাড়াতে পারে,’ সিএনএন একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ‘এটি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউরোপীয় স্থিতিস্থাপকতা এবং ঐক্যের একটি বড় পরীক্ষাও হবে।’ এ সপ্তাহে, ওয়াশিংটন পারমাণবিক শক্তি উৎপাদন বাড়ানোর উপায় নিয়েও ইউরোপের সাথে আলোচনা করতে চায়। বিশেষ করে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জার্মান সরকারকে পারমাণবিক শক্তির ব্যবহার বন্ধ করার পরিকল্পনা স্থগিত করতে এবং তার তিনটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য রাজি করাতে আশা করে।
ইতালিতে ন্যাটো সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ : মঙ্গলবার রাতে ইতালির ফ্লোরেন্সে অসংখ্য মানুষ ন্যাটোর সম্প্রসারণের প্রতিবাদে এবং ইউক্রেনে শান্তির আহ্বান জানাতে মিছিল করেছে, দেশটির বার্তা সংস্থা এএনএসএ জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অংশগ্রহণকারীরা একটি ব্যানার বহন করছিলেন যাতে লেখা ছিল, ‘বন্দুকগুলিকে নীরব করুন, এখনই আলোচনার টেবিলে ফিরে আসুন।’ দেশটিতে একটি নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির দাবিতে বিক্ষোভকারীরা ন্যাটো সম্প্রসারণ এবং ইউক্রেনে পশ্চিমা অস্ত্র সরবরাহের বিরুদ্ধে সমাবেশ করছে।
এর আগে ইতালির পার্লামেন্ট ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তাসহ সহায়তা প্রদান সংক্রান্ত একটি বিল পাস করে। ইতালীয় সরকার বছরের শেষ নাগাদ কিয়েভে অস্ত্র পাঠাতে পারে। পণ্যসম্ভার তালিকা শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে। বিক্ষোভের আয়োজকদের মতে, ইতালীয় জনগণ ‘বিশাল প্রচার সত্ত্বেও’ ইউক্রেনীয় সংঘাতে ‘দেশের অংশগ্রহণের বিরোধিতা করে চলেছে’। তারা জরুরীভাবে ইতালীয় সরকার এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নকে ‘আলোচনার পথ পুনরায় শুরু করার জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি করে।’
রুশ সেনার সামান্য অংশই ইউক্রেন অভিযানে নিয়োজিত : রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর শুধুমাত্র সামান্য একটি অংশ ইউক্রেনে তার বিশেষ সামরিক অভিযানে জড়িত এবং নিয়োজিত সৈন্যের সংখ্যা কমান্ডার-ইন-চীফ কর্তৃক নির্ধারিত কাজগুলি পূরণ করার জন্য যথেষ্ট। মঙ্গলবার ভস্টক ২০২২ শীর্ষক কৌশলগত কমান্ড এবং স্টাফ মহড়া স্থগিত রাখার বিষয়ে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই পরিকল্পনার কথা বলেছে।
‘আমরা এ বিষয়টির প্রতি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যে রাশিয়ান ফেডারেশনের সশস্ত্র বাহিনীর একটি অংশ বিশেষ সামরিক অভিযানে নিযুক্ত রয়েছে এবং এর আকার কমান্ডার-ইন-চিফ দ্বারা নির্ধারিত সমস্ত কাজ বাস্তবায়নের জন্য যথেষ্ট,’ সামরিক সংস্থা উল্লেখ করেছে। রাশিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে ভস্টক ২০২২ কৌশলগত কমান্ড এবং স্টাফ ড্রিল ৩০ আগস্ট থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। মহড়ায় ইস্টার্ন মিলিটারি ডিস্ট্রিক্টের সেনারা জড়িত থাকবে।
ডনবাসে ‘কৌশলগত অগ্রগতি অর্জন’ করেছে ওয়াগনার গ্রুপ : ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা প্রধানদের মতে, ভøাদিমির পুতিনের ব্যক্তিগত সেনাবাহিনী ‘সম্ভবত ডনবাসে কৌশলগত অগ্রগতিতে সফল হয়েছে’। ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি গোয়েন্দা আপডেটে, এটি প্রকাশ করা হয়েছিল যে, ওয়াগনার প্রাইভেট মিলিটারি কোম্পানি সম্ভবত ভুলেহিরস্কা পাওয়ার প্ল্যান্টের আশেপাশের এলাকায় সফল হয়েছে।
এটি ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিদ্যুত কেন্দ্র এবং ডোনেৎস্কের প্রায় ৩০ মাইল উত্তর-পূর্বে অবস্থিত। পূর্ববর্তী রিপোর্টগুলোতে বলা হয়েছে যে, প্ল্যান্টটি ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় অবকাঠামো দখল করার পাশাপাশি ক্রামতোরস্ক এবং সেøাভিয়ানস্কের মূল শহরগুলোর দিকে অগ্রসর হওয়ার একটি কৌশলের অংশ ছিল। ব্রিটিশ গোয়েন্দারা বলেছে যে, ‘কিছু ইউক্রেনীয় বাহিনী সম্ভবত এলাকা থেকে পালিয়েছে’ যার মধ্যে রয়েছে নিকটবর্তী গ্রাম নভোলুহানস্কে। ওয়াগনার সামরিক কোম্পানি একটি রাশিয়ান ভাড়াটে সংস্থা যাদের ক্রেমলিনের সাথে সম্পর্ক রয়েছে বলে বিশ্বাস করা হয়, যদিও পুতিন সর্বদা এটি অস্বীকার করেছেন। পশ্চিমা গোয়েন্দারা রিপোর্ট করেছে যে, ইউক্রেনের মতো যুদ্ধক্ষেত্রে এই তথাকথিত ‘বেনামী সৈন্যদের’ ব্যবহার করে রাশিয়া ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে এবং এতে তার সামরিক অভিযানের গোপনীয়তাও বজায় রয়েছে।
ইউক্রেনকে আরো হিমারস রকেট লঞ্চার দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র : সঙ্কট ঘনীভূত করতে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে অস্ত্র দেয়া অব্যাহত রেখেছে। মঙ্গলবার মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন এবং ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আলেক্সি রেজনিকভ ফোনালাপে ইউক্রেনের সামরিক সহায়তা নিয়ে আলোচনা করেছেন, যার মধ্যে একাধিক হিমারস রকেট লঞ্চারের অতিরিক্ত সরবরাহ রয়েছে।
পেন্টাগন জানিয়েছে, ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা যোগাযোগ গ্রুপের সাম্প্রতিক বৈঠকের ফলাফল এবং ইউক্রেনে চলমান নিরাপত্তা সহায়তা নিয়ে আলোচনা করতে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড জে অস্টিন ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভের সাথে কথা বলেছেন। পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ গতিশীল আর্টিলারি রকেট সিস্টেম হিমারসের অতিরিক্ত কিছু ইউনিট সরবরাহ করা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। পেন্টাগনের ভারপ্রাপ্ত প্রেস সেক্রেটারি টড ব্রেসিয়াল এক বিবৃতিতে বলেছেন, অস্টিন রেজনিকভকে আশ্বস্ত করেছেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যত দ্রুত সম্ভব ইউক্রেনে সরঞ্জাম সরবরাহ করতে যাচ্ছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট অফিসের প্রধান আন্দ্রে ইয়ারমাক ২৪ জুলাই বলেছিলেন যে, মার্কিন কংগ্রেস সদস্যরা ৩০টি হিমারস সিস্টেম এবং যুদ্ধাস্ত্র সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
আগস্টে পুতিনের সাথে এরদোগানের বৈঠক : আগামী ৫ আগস্ট রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সাথে বৈঠক করতে দেশটিতে সফর করবেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান। পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, রাশিয়ার উপকূলীয় শহর সোচিতে তাদের বৈঠকটি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগেই এরদোগান, পুতিন ও ইরানের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসির মধ্যে তেহরানে একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তাতে সিরিয়া, বৈশ্বিক উগ্রবাদ ও নানা বিষয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়। তবে এরদোগান-পুতিনের আসন্ন বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হবে, তা স্পষ্ট করা হয়নি। সূত্র : রাশিয়া টুডে, ইভনিং স্ট্যান্ডার্ড, মিডল ইস্ট মনিটর, ট্রিবিউন, তাস।
১৩ বছর বয়সেই বিশ্বকে তাক লাগালেন মার্কিন কিশোরী
মাত্র ১৩ বছর বয়সেই ডাক্তারিতে ভর্তি হয়েছেন আলেনা আনালেগ উইকার নামের এক মার্কিন কিশোরী। গত বছর তিনি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেছেন। সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রামে তার ২০ হাজার অনুসরণকারীকে খবরটি নিজেই জানিয়েছেন আলেনা।
ভর্তির স্বীকৃতি পত্রের একটি ছবি পোস্ট করে আলেনা লেখেন, ‘আমি আমার লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য এবং আমার স্বপ্নগুলোকে বাঁচানোর জন্য অনেক কঠোর পরিশ্রম করেছি। মা, আমি সার্থক হয়েছি।’ আলাবামা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বার্মিংহামের হিয়ারসিঙ্ক স্কুল অফ মেডিসিনের বুরোস ওয়েলকাম স্কলারস আর্লি অ্যাসুরেন্স প্রোগ্রামে তাকে ভর্তি করা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি সিএনএন-কে দেয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
প্রোগ্রামটি আলাবামা জুড়ে মেডিকেল স্কুল এবং এইচবিসিইউ-এর মধ্যে একটি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে পরিচালিত হয় এবং এটি তাদের ওয়েবসাইট অনুসারে, গ্রহণযোগ্যতা এবং ম্যাট্রিকুলেশনের প্রয়োজনীয়তা পূরণকারী শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক স্বীকৃতি প্রদান করে। আলেনা ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন যে, তিনি গত বছর ১২ বছর বয়সে উচ্চ বিদ্যালয়ে স্নাতক হয়েছেন। ওয়াশিংটন পোস্টের সাথে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি এখনও একজন সাধারণ ১৩ বছর বয়সী কিশোরী।’
কিন্তু নিজেকে সাধারণ দাবি করলেও আলেনা আসলে অসাধারণ কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। ওয়াশিংটন পোস্ট অনুসারে, তিনি বর্তমানে অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটি এবং ওকউড ইউনিভার্সিটি উভয়েরই একজন ছাত্রী, জীববিজ্ঞানের উপরে দুটি পৃথক স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। এত অল্প বয়সে এত কিছু কীভাবে সম্ভব? প্রশ্ন করা হলে আলেনা বলেন, ‘আমার কাছে খুব ভালো সময় ব্যবস্থাপনার দক্ষতা আছে এবং আমি খুবই শৃঙ্খলাবদ্ধ।’ সূত্র : সিএনএন।
Post a Comment