সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা এখন কথা বলতে ভয় পাচ্ছেন: মান্না

     ‘লোডশেডিং, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, লুটপাটের’ বিরুদ্ধে নাগরিক ঐক্যের সমাবেশ। বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে 
 

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান (মান্না) বলেছেন, সরকারের মন্ত্রী–এমপিরা এখন আর কথা বলতে পারছেন না। কথা বলছেন তাঁদের সচিবেরা। কারণ, সচিবদের জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হয় না।

আজ বুধবার রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘লোডশেডিং, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, লুটপাটের’ বিরুদ্ধে নাগরিক ঐক্যের সমাবেশ ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহমুদুর রহমান এসব কথা বলেন।

মাহমুদুর রহমান বলেন, সরকারের মুখ্য সচিব এখন বোঝাচ্ছেন কীভাবে লোডশেডিং যৌক্তিক, ডলার–সংকট যৌক্তিক। আবার প্রধানমন্ত্রী বলছেন, রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সংকট তৈরি হয়েছে। কিন্তু মানুষ হিসাব জানে। কোথা থেকে কী পরিমাণ তেল আমদানি হয় দেশে।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, ‘হাতিরঝিলে ১০ কোটি টাকা খরচ করে বিদ্যুৎ উৎপাদন উৎসব উদ্‌যাপন করা হয়েছিল। সেখানেও প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “আমরা লোডশেডিংকে জাদুঘরে পাঠিয়েছি।” এখন জাদুঘর থেকে লোডশেডিং বের হয়ে এসেছে।’

মান্না বলেন, দেশে ডলারের যে সংকট হয়েছে, তার প্রধান কারণ দেশ থেকে বিদেশে টাকা পাচার হয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, ‘এখন রিজার্ভ নেই, জ্বালানি নেই। যা আছে ৩০ দিন চলবে। আমরা ভয় পাই না। কিন্তু এক মাস পর যখন এই সংকট সামনে আসবে, তখন মাথা চাপড়িয়েও আর কোনো লাভ হবে না। কিছুদিন পরে মোমবাতিও কিনতে পাওয়া যাবে না।’


নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কবীর হাসানের সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিন্নুর চৌধুরী, সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ, অধ্যাপক মাহবুব হোসেন প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি প্রেসক্লাব থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।


    নাশকতার মামলায় নারায়ণগঞ্জে বিএনপির ৬৬ নেতার বিরুদ্ধে বিচারশুরু    আদালত

নাশকতার অভিযোগে পুলিশের করা মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাসহ বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ৬৬ নেতা–কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ মুন্সী মো. মশিয়ার রহমানের আদালত তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২০ সেপ্টেম্বর ধার্য করা হয়েছে।

এ সময়ে মামলার আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন, খোরশেদ আলম, সিদ্দিকুর রহমান, কামাল হোসেন।

যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন—বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সহসম্পাদক নজরুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফর রহমান, আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহম্মেদ, সিনিয়র সহসভাপতি মতিউর রহমান, সহসভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফি উদ্দিন, আজহারুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম।

আসামিপক্ষের আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, রাজনৈতিক কারণে নাশকতার অভিযোগে পুলিশ এ মামলা করেছে। মিথ্যা ও হয়রানিমূলক এ মামলায় বিএনপির নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে আদালতের সরকারি কৌঁসুলি মনিরুজ্জামান বুলবুল প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপির ৬৬ নেতা–কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। আদালত আগামী ২০ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন।







Post a Comment

Previous Post Next Post